সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে – বর্তমানে বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। আমরা দিন দিন প্রযুক্তির উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। বিনোদনের কেন্দ্র থেকে শুরু করে আর্থিক বড় বড় লেনদেন গুলো ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। ব্যাংকিং থেকে শুরু করে একটি দেশের সরকার ব্যাবস্থায় প্রয়োজনীয় সকল নথী গুলো ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর।
প্রযুক্তি আমাদের জীবন যাত্রার মান বদলে দিয়েছে কিন্তু প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের এর সিকিউরিটি ব্যবস্থা নিয়ে চিহ্নিত হতে হয়। প্রযুক্তির দূর্বলতার সুজোগ নিয়ে একদল চক্রান্ত কারি এসব তথ্য গুলো চুরি করে। আর এখানেই আমাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে সাইবার সিকিউরিটি।
সম্মানিত বন্ধুরা – আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো সাইবার সিকিউরটি সম্পর্কে। আমরা অনেকেই হয়ত সাইবার সিকিউরিটির নাম শুনেছি কিন্তু এটা কাজ কিভাবে করে সে সম্পর্কে জানি না। বর্তমানে আমরা অনেকেই প্রায়ই বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে সনবাদ পাই যে অমুক জায়গায় সাইবার এট্যাক করেছে। এটা আসলে কিভাবে ঘটে বা এর থেকে আমরা কিভাবে রেহায় পেতে পারি সেটা নিয়েই বিস্তারিত আজকের এই আয়োজন।
সাইবার সিকিউরিটি কি
সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে মূলত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কে হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় একটা মাধ্যম। ব্যাপারটি আরও সহজভাবে বলতে গেলে – মনে করুন, আশিক সাহেবের কম্পিউটারে তার ব্যাংক ডিটেইলস থেকে শুরু করে বিভিন্ন জরুরি তথ্যাদি রয়েছে। যেটা অন্য কেউ যদি জেনে যায় কিংবা অন্য কেউ হামলা করে হাতিয়ে নিলে আশিক সাহেবের প্রচূর ক্ষতি হয়ে যাবে। ।
অন্যদিকে সাইবার হামলাকারি একজন ব্যাক্তি আশিক সাহেবের কম্পিটারে একটা ছোট ভাইরাস ইনপুট করে দেয়। যেহেতু রকিব সাহেবের কম্পিউটারে কোনো নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেই তাই ভাইরাস সম্পর্কে সে অবগত হতে পারেনি। এখন – এই ছোট ভাইরাসের মাধ্যমে রকিব সাহেবের সমস্ত তথ্য হামলাকারি ব্যাক্তি তার কাছে নিয়ে নেয় এদিকে আশিক সাহেবের কম্পিউটার অচল হয়ে পরে এবং সমস্ত প্রয়োজনিয় ডেটা গুলো এনক্রিপ্টেড হয়ে যায়।
এখন খেয়াল করুন – প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবন কে অনেক বেশি পালটে দিয়েছে তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সিকিউরিটি সিস্টেম। মূলত আমাদের তথ্য গুলো কে যারা হামলা করবে তাদের হাত থেকে রক্ষা করাই হল সাইবার সিকিউরিটির প্রধান কাজ।
বিষয় টা কে আপনি চাইলে আপনার বাসা বাড়ির সাথে তূলনা করতে পারেন। আপনার বাসা বাড়ি ডাকাত থেকে রক্ষা করতে যেমন একজন দারোয়ান বা গার্ড রাখেন ঠিক একই ভাবে অনলাইনে বিভিন্ন ডিভাইস এর জরুরি তথ্য গুলো সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম পাহারা দিতে সহায়তা করে থাকে।
আশা করি আপনারা এই অংশ থেকে সাইবার সিকিউরিটি কি বা কাকে বলে আর এটা কিভাবে আমাদের সহায়তা করে সে সম্পর্কে ভালো ভাবে ধারণা পেয়েছেন। এখন – এই সাইবার সিকিউরিটির অনেক ধরণ আছে। ধরণ অনযায়ী সাইবার সিকিউরিটি কাজ করে থাকে। নিচে আমরা সাইবার সিকিউরিটির প্রকারভেদ বা সিকিউরিটি কত প্রকার ও কি কি তা বিস্তারিত তুলে ধরলাম।
সাইবার নিরাপত্তা কত প্রকার ও কি কি
সাইবার সিকিউরিটি অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। দিন দিন এর সাইবার সিকিউরটি কে উন্নিত করার লক্ষ্যে নতুন ধরণের সিকিউরিটি সিস্টেম কে যুক্ত করা হয়ে থাকে। প্রাথমিক ক্ষেত্রে সাধারণ কিছু সাইবার সিকিউরিটি কম্পিউটার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ শুরু করে। সাধারণত কম্পিউটারে প্রথম এন্টিভাইরাসের মাধ্যমে ফাইল এর সিকিরিউটি প্রদান করা হতো।
এন্টিভাইরাস গুলো কম্পিউটারের ভাইরাস গুলো অনেক ক্ষেত্রেই সনাক্ত করতে পারতো। যখন নতুন কোনো সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইন্সটল করা হয় তখন এন্টিভাইরাস গুলো সেখানে থাকা ম্যালওয়্যার গুলো ডিটেক্ট করে ইউজার কে জানিয়ে দিতে পারে। আবার অনেক সময় লক্ষ করা হয় যে ফায়ার ওয়েল সিস্টেম নেটওয়ার্কে থাকা বাইরের অংশ গুলি ব্লক হয়ে যেতে পারে। তবে এন্টিভাইরাস হিসেবে এগুলো এখন কার সময়ে খুব কম ব্যবহার হয়ে থাকে।
এ ছাড়াও আমরা নিম্নে কয়েকটি সাইবার সিকিউরিটির প্রকারভেদ আলোচনা করলাম –
১। ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি
সাইবার সিকিউরিটিতে অন্যতম একটি সিস্টেম হলো ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরটি। এটা এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে অনেক কিছু হ্যাকার হতে রক্ষা করা যায়। যেমন – ট্র্যান্সপোর্টেসন নেটওয়ার্ক, পাওয়ার প্লান্টস, কমিউনিকেসন সিস্টেম, সাইবার থ্রেটস ইত্যাদি।
এই সিস্টেমে অনেক গুলো টেকনোলজি ব্যাবহার করা হয়। দেশের সরকার তার জনগনের সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ক্রিটিকাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দেশের মানুষের অর্থ সহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করে এটি।
২। অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি
সাইবার সিকিউরটির মধ্যে আরো একটি সিকিউরিটি সিস্টেম হলো অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সিস্টেম। বিভিন্ন ভাইরাস ও সাইবার থ্রেট থেকে কম্পিউটারের অ্যাপ্লিকেশন কে রক্ষা করা অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি এর কাজ। সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন গুলো একটি সার্ভারের সাথে কানেক্টেড থাকে। আর সাইবার হামলা হলে সার্ভার গুলো অচল হয়ে যায়।
সার্ভার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন এর সার্ভার গুলো যে সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সিস্টেম বলে। সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি সিস্টেম এর জন্য যেসব সিকিউরিটি রাখা হয় –
- ফায়ারওয়্যেল
- এঙ্ক্রিপসন ও ডিক্রিপসন ডেটা
- এন্ট্যিভাইরাস
- স্পাইওয়্যার ডিটেকটর এবং রিমুভ প্রোগ্রাম
- বায়োমেট্রিক অথেনথিক সিস্টেম।
৩। নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি
ইন্টারনেট আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি কিন্তু ইন্টারনেটে কানেক্টেড থাকা ডিভাইস যেমন – মোবাইল বা কম্পিউটার কতটা নিরাপদে অবস্থানে আছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলা করা হয়। আপনার ডিভাইস কে নিরাপদ রাখতে নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি সিস্টেম ইন্টারনেটে কানেক্ট থাকা অবস্থায় ব্যবহার করা হয়।
নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির ক্ষেত্রে ফায়ারওয়েল বিশেষ ভাবে কাজ করে। যখন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন আন-আইডেন্টিফাইড ট্রাফিক গুলো ডিটেক্ট করে ব্লক করে দিতে পারে।
এমতবস্থায় দেখা যায় যে সাইবার হামলাকারি সহজেই অ্যাকেস নিতে চাইলে তা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আমাদের যেগুলো ডিভাইস রয়েছে সেগুলোতে অটোম্যাটিক ভাইরাস ইনপুট করতে সক্ষম হয় না।
৪। ইন্টারনেট অফ থিংস সিকিউরিটি
ইন্টারনেট অফ থিংস যাকে সংক্ষেপে বলা হয় (IOT). ইন্টারনেট অফ থিংস এর সিকিউরটি সিস্টেম বুঝার আগে আমাদের আগে বুঝতে হবে ইন্টারনেট অফ থিংস আসলে কি। সাধারণত ইন্টারনেট হলো বিশ্বের সব নেটওয়ার্ক গুলো একসাথে যুক্ত হয়ে যে ইন্টারকানেক্টেড সিস্টেম তৈরি করেছে তাকে ইন্টারনেট বলে। আর এখানে থিংস বলতে বস্তু ধারণা বোঝানো হয়েছে।
যেখানে আমরা ক্যামেরা, টিভি ইত্যাদি স্মার্ট ডিভাইস গুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারি। এখন এই স্মার্ট ডিভাইস গুলোর যদি সিকিউরিটি সিস্টেম দূর্বল থাকে তাহলে সাইবার আক্রমন হবার সম্ভাবনা থাকে। যেমন বলা যায় – আমাদের ট্রফিক সিগনাল লাইট।
যেটা একটা শহরকে যানজট থেকে বাচায়। এখন এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ডিভাইসে যদি সাইবার এটাক করা হয় তাহলে গোটা শহরের কি অবস্থা তৈরি হতে পারে চিন্তা করে দেখুন। সাধারণত যেসব সিকিউরিটি প্রদান করা হয় তা হলো –
- ডিভাইসের একসেস কন্ট্রোল
- সিকিউর কমিনিউকেসন প্রটোকলস
- ফ্রেমওয়্যার ও পাচ
- ডাটা এঙ্ক্রিপসন
- ডিভাইস কনফিউগার
- নেটওয়ার্ক আইসোলেসন
- মনিটরিং থ্রেট সিস্টেম
- ইত্যাদি ছাড়াও অনেক ধরণের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা প্রদান করা হয়।
৫। ক্লাউড সিকিউরিটি
ক্লাউড সিকিউরিটি হচ্ছে মূলত এপলিকেসন এর ডেটা গুলো যেখানে বিভিন্ন ধরণের তথ্যকে হোস্ট করে রাখা হয়। আবার কিছু কিছু সময়ে স্টোরেজ বৃদ্ধি করার জন্য ক্লাউড ব্যবহার করা হয়। যেমন উদাহরন হিসেবে বলা যায়– গুগল ড্রাইভ, ক্লাউড হোস্টিং ইত্যাদি। এ ধরণের ক্লাউড ডেটা কে সাইবার হামলা থেকে রক্ষা করতে ক্লাউড সিকিউরিটি ব্যবহার করা হয়।
সাইবার সিকিউরিটি কিভাবে কাজ করে
সাইবার সিকিউরিটির কাজের উদ্দেশ্য একটাই সেটা হলো হামলা থেকে ইউজার কে রক্ষা করা। তবে ডিভাইস ভেদে অনেক সময় ভিন্ন ভাবে কাজ করে থাকে। যেই হামলা করবে কিংবা হামলা করার চেষ্টা করবে তখন যাতে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে সে ব্যবস্থায় কাজ করে।
মোট কথা তৃতীয় কোনো ব্যাক্তির হাত থেকে সরাসরি রক্ষা করতে সাহায্য করে। যদি এরকম কোনো কিছু ঘটে সেটা কে রিমুভ করার ক্ষেত্রেও সাইবার সিকিউরিটি কাজ করে থাকে। যা আমরা উপরে আগেই বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেছি।
আধুনিক সমাজে সাইবার নিরাপত্তার গুরুত্ব
আধুনিক সমাজ বলতে আমরা বুঝি প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ কে। বর্তমান বিশ্বে যে দেশ যত বেশি প্রযুক্তিনির্ভর তারা সবচেয়ে বেশি আধুনিক। তো আধুনিক সমাজের সংজ্ঞা থেকে আমরা বুঝি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি নির্ভর হতে হবে। আর আধুনিক সমাজের প্রান হলো প্রযুক্তি।
এখন যদি প্রযুক্তি কে সাইবার আক্রমন থেকে রক্ষা করা না যায় তাহলে এটা আধুনিক সমাজের জন্য হুমকি। মানুষের ব্যাক্তিগত ডাটা, আর্থিক লেনদেন সব কিছু প্রযুক্তি নির্ভর। এমন কি আপনার বাসার সিকিউরিটি ক্যামেরা রয়েছে সেটিও কিন্তু প্রযুক্তি নির্ভর। মানুষের নিরাপত্তা প্রযুক্তি দিয়ে দেওয়ার আগে আমাদেরকে সেই প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা জরুরি।
দিন দিন সাইবার হামলা বেড়ে চলছে। অনলাইনে প্রতারণার মাধ্যমে টার্গেট কে কনভিন্স করার মাধ্যমে দুস্কৃতি কারিরা ক্ষতি করছে। প্রযুক্তি তে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা থাকলেও সাবধান থাকতে হবে আপনাকে। কারণ আপনার সামান্য একটি ভুলে হয়ে যেতে পারে অনেক বড় ক্ষতি।
বিশেষত আপনি নিশ্চয় অনলাইন ব্যবহার করেন তো আপনি কখনও ভেবেছেন যে আপনার ডিভাইস কতটা নিরাপদ? আপনার কম্পিউটারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রাক সফটওয়্যার ব্যাবহার করার মাধ্যমে সাইবার হামলা বেড়ে চলেছে। আপনার কাছে ডিজিটাল ডিভাইস থাকা মানে আপনাকে তার নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কে নিশ্চিত করে নিতে হবে।
বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটির বাস্তব চিত্র
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে নড়বড়ে অবস্থানে আছে বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম। এ দেশের মানুষের কথা বাদ দিলাম কারন ৯০% মানুষ সাইবার এট্যাক সম্পর্কে কোনো ধারণাই রাখে না। যদি সরকারি খাত এর কথা চিন্তা করি সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নেই। দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদপত্রে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে – বিশেজ্ঞরা দাবি করেছেন সবচেয়ে ঝুকিতে আছে আমাদের আর্থিক খাত গুলো।
সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে শেষ মতামত
সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে আর্টিকেলে আমরা সাইবার হামলা সম্পর্কিত সকল কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। দৈনন্দিন জীবনে আপনার ব্যবহার করা সোশ্যাল মিডিয়া অথবা কম্পিউটার সকল ক্ষেত্রে এর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ পর্যায়ের করে নিন। হয়তো আপনিও কোনদিন সাইবার হামলাকারির স্বীকার হইতে পারেন। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত।
আমরা ইতিমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে, সাইবার নিরাপত্তা কত প্রকার ও কি কি এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে আরো অন্যান্য বিষয়াদি নিয়ে আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। আপনি এই যদি পোষ্টটি শুরু থেকে শেষ অবদি পড়েন তাহলে আশা করছি সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে যাবতীয় বিষয়সমূহ জেনে আপনাদের উপকারে আসবে। সাইবার নিরাপত্তাসম্পর্কে কোন মতামত কিংবা কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন।
আর চাইলে এটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরও সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে এই জরুরি পোষ্টটি জানানোর সুযোগ করে দিতে পারেন। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে সাইবার নিরাপত্তা কাকে বলে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করলাম। এমন আরও প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।