ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে? ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি সুব্যবস্থা যার মাধ্যমে খুবই সহজে কোন পন্য অথবা সার্ভিসকে অনলাইনের মাধ্যমে প্রমোশন করানো যায়। বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি ক্যারিয়ার সুব্যবস্থা যার সহায়তায় খুব সহজেই বেকারত্বের হার কমে যাচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে অনেকেই মাছ শেষে লক্ষ টাকার বেশি উপার্জন করছে। আজকের আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আসলে আমাদের কি কি শিখতে হবে ও ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। তাই এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গভীরতা অনেক তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সহজ ভাষায় বলা হয় এমন একটি সিস্টেম যে সিস্টেমের মাধ্যমে সহজে ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সহজেই কোন পণ্য অথবা সেবা গ্রাহকদের নিকট বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করার মাধ্যম।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানে না এই যুগে এসে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। প্রতিনিয়তই আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখতে পারি। সেগুলো আপনাদের চিন্তাভাবনার উপর ভিত্তি করেই দেখানো হয়।
আপনি দৈনন্দিন জীবনে যে সকল জিনিসপত্র নিয়ে বেশি বেশি সার্চ করেন কিভাবে বেশি বেশি ঘাটাঘাটি করেন সে সকল পণ্যগুলোই আপনাদের সামনে চোখে পড়ে। এগুলো এমনি এমনি পড়ে না এগুলো মূলত কাস্টমাইজ করা হয়ে থাকে। একজন ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ হচ্ছে প্রত্যেকটি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী এবং প্রত্যেকটি গ্রাহক কি ধরনের প্রোডাক্ট চাচ্ছে সেটি তার সামনে তুলে ধরানো।
সাধারণত ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ারের একটি অনেক বড় ভরন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেকেই ফুল টাইম ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। আবার কেউ কেউ চাকরির পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে নিজের এক্সট্রা ইনকাম সহজেই করে নিচ্ছে।
আপনিও চাইলে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে মাসে শেষে লক্ষাধিক অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে তার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে বুঝতে হবে এবং শিখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য বেশ কয়েকটি কাজ আপনাদেরকে শিখতে হবে। যারা যারা ডিজিটাল মার্কিন শিখতে চাচ্ছে তারা অবশ্যই মাথায় রাখবেন এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার মিনিমাম ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর এই সময়কালের মধ্যে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে এবং সঠিকভাবে কাজগুলো সম্পাদন করতে হবে।
তাহলে পরবর্তীতে আপনি আপনার ক্যারিয়ারে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেট আর হতে পারবেন।
তাহলে চলুন আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে।
এই সকল স্কিল গুলো যদি আপনি ভালো করে শিখে নিতে পারেন খুব সহজে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে উঠতে পারবেন এবং আপনার ক্লাইন্টকে ভালো সুবিধা দিতে পারবেন এবং প্রতিমাসে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ক্লাইন্টকে যদি আপনি ভালো সুবিধা না দিতে পারেন সার্ভিস না দিতে পারেন তাহলে কিন্তু সে আপনাকে পেমেন্ট করবে না। দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
এটি এমন একটি স্কিল যেই স্কিল ব্যতীত ডিজিটাল মার্কেটিং কল্পনাও করা সম্ভব নয়। মার্কেটপ্লেস বা মার্কেটপ্লেস এর বাইরে যে ক্লাইনটি আপনি পান না কেন সেই ক্লায়েন্টের অবশ্যই একটি না একটি ওয়েবসাইট থাকবেই। আর সেই ওয়েবসাইটটিকে এসইও করার মাধ্যমে অপটিমাইজ করতে হবে। আর অপটিমাইজ করার পরে সেই ওয়েবসাইটটির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিজিটর অর্গানিক্যালি আসবে।
আর মার্কেটে বর্তমান সময়ে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের চাহিদায় সবচেয়ে বেশি। তাই আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে আপনার কাজের কোন অভাব হবে না। আর এসইও শিখা অনেক বেশি কষ্টকর। আমি একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে আপনাকে পরামর্শ দিব হাতে দুই থেকে তিন বছরের সময় নিন।
তাহলে আপনি একজন প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন। আমি নিজেও প্রায় ৫ বছর সময় কাল ধরে এসইও করছি, এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করছি বলে আমি এখন প্রফেশনাল লেভেলের এসিও এক্সপার্ট হয়ে উঠেছে। আপনাদেরও নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট আপনাকে টেস্টিং পারপোজি তৈরি করতে হবে। আর এসইও শিখলেই শুধু হবে না তার সাথে সাথে বিভিন্ন টুলস এর কাজগুলো এবং সেই টুলসগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার জানতে হবে।
এর মধ্যে সবচাইতে জরুরী যে টুলস রয়েছে সে টুলসটি হচ্ছে গুগল সার্চ কনসোল। কারণ আপনার যেই ক্লাইন্টের ওয়েবসাইট থাকবে সেই ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে কনটেন্ট গুলো থাকবে সেই কনটেন্ট গুলো বেশিরভাগ সময় গুগলে ইনডেক্স করাতে হয়। এবং সেই কনটেন্টগুলোর মাধ্যমেই মূলত ব্যবহারকারীদের নিকট সেগুলো পৌঁছায় তারা দেখতে পায়। আর এইগুলো সম্পাদন করার জন্যই এসইও শিখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা যেতে বুঝি সেটি হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব ইনস্টাগ্রাম কিংবা টুইটার। এগুলোই সোশ্যাল মিডিয়া। ডিজিটাল মার্কেটেদের নজরে এগুলো অন্য জিনিস। এগুলো এক একটি সোনার মত। যেগুলোর মধ্যে খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যমে ফ্রিতে অর্গানিক অনেক বেশি ভিজিটর পাওয়া যায়। তবে তার জন্য অবশ্যই সঠিক ধরনের কনটেন্ট প্ল্যানিং এবং ক্রিয়েটিভ পোস্ট ডিজাইন করা জানতে হবে।
এছাড়াও ফেসবুকে এড ম্যানেজার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অ্যাড ক্যাম্পেন রান করে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক বেশি অর্গানিক ট্রাফিক দেওয়া যায়। অধিকাংশ ক্লায়েন্টটি বর্তমান সময়ে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজারের মাধ্যমে অ্যাড রান করানোর জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটে হায়ার করে থাকে। এটি একটি হাই ডিমান্ডিং স্কিল তাই অবশ্যই শিখার চেষ্টা করতে হবে।
কনটেন্ট মার্কেটিং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন
কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে এমন একটি সিস্টেমকে বোঝানো হচ্ছে যেখানে একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে কন্টেন্ট লিখতে হবে এবং প্রফেশনালি এসইও করতে হবে। যেমন ধরুন আমরা এই ওয়েবসাইটের মধ্যে যে কনটেন্টটি লিখেছি সেটি সম্পূর্ণভাবে এসইও অপটিমাইজ করা হয়েছে যার ফলে আপনি google এ সার্চ করার মাধ্যমে আমাদের কনটেন্টই পেয়েছেন।
এই ধরনের কনটেন্টকে বলা হয়ে থাকে ব্লগ পোস্ট বা ব্লগ আর্টিকেল। আপনারা যারা ব্লগিং শিখতে চাচ্ছেন তারা চাইলে খুব সহজেই কনটেন্ট মার্কেটিং শিখে রাখতে পারেন যাতে পরবর্তীতে ব্লগিংও আপনাদের জন্য সহজ হয়।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের হাই ডিমান্ডিং বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রমোশনের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে লক্ষাধিক ক্রেতার কাছে খুবই সহজে ইমেইলের মাধ্যমে পণ্যের প্রমোশন করা সম্ভব। ইমেল মার্কেটিং এর জন্য আপনার এই ধরনের অনেকগুলো ইমেল এর প্রয়োজন হবে যেগুলোতে একটিভ মানুষ থাকবে এবং সেই সকল গ্রাহকরা পণ্য কিনবে। এটিও একটি হাই ডিমেন্টিং স্কিল যা আপনাকে শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন
আপনি একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাচ্ছেন অথচ আপনি গ্রাফিক ডিজাইন পারবেন না বিষয়টি কিন্তু লজ্জাজনক। কারণ যেকোনো ধরনের মার্কেটিং করতে গেলেই আপনার অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের ইমেজের প্রয়োজন হবে যেগুলো আপনাকে নিজে প্রফেশনালি ডিজাইন করতে হবে।
এখন খুব সহজেই ক্যান বা ব্যবহার করে যেকোন ধরনের ইমেজ রেডি করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। আপনি যদি ক্যানভাতে প্রফেশনাল লেভেলের এডিটিং শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই মার্কেটিং করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্লায়েন্টের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্টের চাহিদা থেকে থাকে। সে সকল ক্লায়েন্টদের হারাতে না চাইলে আপনাকে নিজেকে একজন ওয়েবসাইট ডেভেলপার বা ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হতে হবে। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের দক্ষ ল্যাংগুয়েজ জানা থাকলে আপনি নিজে নিজে বিভিন্ন প্রফেশনাল ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন।
এই সবগুলো স্কিল যদি আপনি খুব সহজে হত্যা করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি একজন প্রফেশনাল লেভেলের ডিজিটাল মার্কেট আর হতে পারবে এবং অনেক বেশি কাজ পাবেন। অবশ্যই আপনাকে ধীরে ধীরে এবং বেশি বেশি পরিশ্রম করতে হবে। অবশ্যই সবাইকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে। আশা করছি আপনার যাত্রা শুভ হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে অনেক বড় একটি সেক্টর এই সেক্টরে বিভিন্ন প্রকারের কাজ রয়েছে। যার ফলে যারা নতুন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাই তারা অবশ্যই বুঝতে পারবে না যে কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে। এজন্য অবশ্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি। তাহলে খুব সহজেই সেই সকল কাজগুলো আপনি অনায়াসে কোর্স করার মাধ্যমে কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখার মাধ্যমে শিখে নিতে পারবেন।
এরপরে সে সকল কাজগুলো রপ্ত করে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারবেন। এর জন্য আপনাদের সুবিধার্থে বেশ কিছু অধিক চাহিদা পণ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শেয়ার করা যাক। বর্তমান সময়ে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ সব চাইতে বেশি। কারন নিয়মিত বিভিন্ন ব্লগার অথবা কোম্পানি ওয়েবসাইট ডিজাইন করছে।
সে সকল ওয়েবসাইট গুলো তাদের প্রতিনিয়ত রেংক করানোর প্রয়োজন পড়বে। যাতে করে গ্রাহকের নিকট বা ভিজিটরদের নিকট ওয়েবসাইটগুলো পৌঁছাতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের মালিক নিয়মিত বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটারদের নিকট শরণাপন্ন হচ্ছে এসইও করার জন্য।
তাই আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন। তাই অল্প সময়ে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইটি সেন্টার কিংবা অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর এসইও শিখাচ্ছে। খুবই অল্প খরচে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এ সকল এসইও কোর্স করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। ইউটিউব ভিডিও দেখে দেখে ফ্রিতেও শিখতে পারবেন।
এরপরে যেই কাজটি অনেক বেশি পপুলার সেটি হচ্ছে অ্যাডস মার্কেটিং বা ফেসবুক অ্যাডস। এই যুগে এসে ফেসবুক ব্যবহারকারী মানুষের পরিমাণ সবচাইতে বেশি। প্রত্যেকে নিয়মিত ফেসবুকে প্রায় অনেক সময় ধরে স্কল করে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটাররা তাদের ক্লায়েন্টের বিভিন্ন পণ্যগুলো বিজ্ঞাপন আকারে ক্যাম্পেইন রান করে থাকে।
আর এখন সবচাইতে বেশি ক্লাইন্টরা ফেসবুকের মধ্যে বিজ্ঞাপন রান করাতে চাই। সেই কারণে মূলত আপনি যদি প্রফেশনাল লেভেলের এড মার্কেটিং বা ফেসবুক এড ম্যানেজার এক্সপার্ট হতে পারেন। ভালো খুব সহজে আপনি কাজ পাবেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি কাজ আছে তবে ফেসবুক এডস ম্যানেজার এবং এসইও এর করার মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং এ বর্তমানে সবচাইতে বেশি কাজ পাওয়া যাচ্ছে এবং অনেক বেশি কাজের চাহিদা রয়েছে। সাইদার তুলনায় কর্মচারী অর্থাৎ ফ্রীলান্সার অনেক কম রয়েছে তাই আপনিও চাইলে একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে এই দুইটি স্কিল শিখতে পারেন। বা দুইটির মধ্যে যেকোনো একটি স্ক্রিল শিখতে পারলেই আপনি প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়
বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে। আপনি সেই সকল প্লাটফর্মে খুব সহজেই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কোর্স ফি জমা দিয়ে শিখতে পারবেন। অথবা যদি আপনি খুব সহজে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনার এলাকায় আশে পাশে থাকা বিভিন্ন আইটি সেন্টারগুলোতে যোগাযোগ করে শিখতে পারেন।
সেখানে লাইভ ক্লাস করে আপনি শিখতে পারবেন বলে খুব দ্রুত শিখতে পারবেন। এছাড়াও বিনামূল্যে যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান সেক্ষেত্রে ইউটিউব দেখে দেখে বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে শিখতে পারবেন। ইউটিউবে বিভিন্ন ইউটিউব আর ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স দিয়ে রেখেছে যেগুলো অনেক বেশি হাই লেভেলের এবং সম্পূর্ণ ফ্রি।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট স্কিল বাছাই করে নিতে হবে। এরপরে আপনাকে একজন মেইনটর ঠিক করতে হবে যে আপনাকে সঠিকভাবে এই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখাতে পারবে। তারপর তার সাথে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
তবে শেখার জন্য অবশ্যই আপনার এক নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ এবং সময়ের প্রয়োজন হবে যেটি আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে। প্রত্যেকটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে তাই অবশ্যই আপনাকে সময় দিয়ে মেধা দিয়ে এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে মিনিমাম হলেও আপনার হাতে ছয় মাস সময় নিতে হবে। ছয় মাসের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি সেক্টর আপনাকে ধীরে ধীরে রপ্ত করতে হবে এবং শিখতে হবে।
আপনি যদি ভালো করে ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন তাহলে ছয় মাসের মধ্যেই আপনি একজন প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটের হয়ে উঠতে পারবেন। তবে যদি আপনি কিছু না বুঝতে পারেন এবং ধীরে ধীরে ধীরগতিতে শিকার সেক্ষেত্রে আপনি এক বছর থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রফেশনাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শেষ কথা
আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যত কিছু জানার ছিল সবকিছুই জানতে পেরেছেন। এ ধরনের বিভিন্ন এতগুলো নিয়মিত পেতে অবশ্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে যদি আপনি আরো বিস্তারিত কিছু জানতে চান কিংবা অন্য কিছু আপনার জানার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এমন আরও প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।