মূল্যবোধ কাকে বলে? মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ

মূল্যবোধ কাকে বলে? মূল্যবোধ হলো – মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড। মূল্যবোধ হলো অকৃত্রিম ও অর্জিত আপোষহীন নীতি যা দৈনন্দিন কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। স্থান, কাল পাত্রভেদে মূল্যবোধ বিভিন্ন রূপ হয়। মূল্যবোধ পরিবর্তনশীল। সামাজিক পরিবর্তনের ফলে মূল্যবোধের ও পরিবর্তন ঘটে। তো আপনি কি মূল্যবোধ কাকে বলে? মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জেনে নিতে আমাদের এই ব্লগ পোষ্টটি শেষ অবদি পড়ুন।

মূল্যবোধ কাকে বলে

মূল্যবোধ কাকে বলে

সহজ ভাবে বলা যায়, ভাল-মন্দ, ঠিক-বেঠিক, কাঙ্খিত-অনাকাঙ্খিত বিষয় সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে ধারণা তার নামই মূল্যবোধ। যে গুণের মাধ্যমে মানুষ ‘ভুল’ ও ‘শুদ্ধ’ এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে তাই মূল্যবোধ। দৈনন্দিন ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যে সমস্ত নীতিমালা দ্বারা মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণ নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয়, তার সমষ্টিকে মূল্যবোধ বলে। সামাজিক মূল্যবোধ সমাজজীবনে ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজের যথাযথ সম্পর্ক নির্ণয় করে।

মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য

  • সামাজিক মাপকাঠি: মানুষের কর্মকাণ্ডের ভালো-মন্দ বিচার করার ভিত্তিই হচ্ছে মূল্যবোধ। মূল্যবোধ মানুষের আচার-ব্যবহার, ধ্যান-ধারণা, চাল-চলন ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করার মাপকাঠি স্বরূপ।
  • নৈতিক প্রাধান্য: মূল্যবোধ আইন নয়। এর বিরোধিতা বেআইনি নয়। এটা মূলত একপ্রকার সামাজিক নৈতিকতা। মূল্যবোধের প্রতি সমাজে বসবাসকারী মানুষের শ্রদ্ধাবোধ আছে বলে মানুষ এটা মনে করে।
  • বিভিন্নতা: মূল্যবোধ বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে, দেশ জাতি, সমাজ ও প্রকৃতিভেদে মূল্যবোধের পরিবর্তন হয় এবং স্থান, কাল, পাত্রভেদে মূল্যবোধের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। যেমন- পাশ্চাত্য দেশে মেয়েরা যে পোশাক পরে আমাদের দেশে মেয়েদের জন্য সে পোশাক সমাজ কর্তৃক গ্রহণযোগ্য নয়।
  • বৈচিত্রময়তা ও আপেক্ষিকতা: মূল্যবোধ বৈচিত্রময় ও আপেক্ষিক। আজ যা মূল্যবোধ বলে পরিগণিত, কাল তা সেভাবে বিবেচ্য নাও হতে পারে।

অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে আমাদের কাছে অর্থহীন। যেমন- বাল্যবিবাহ ও সতীদাহ প্রথা। আবার বর্তমানের অনেক মূল্যবোধ ভবিষ্যতে নাও থাকতে পারে। মূল্যবোধ নৈর্ব্যক্তিক।

মূল্যবোধের শ্রেণিবিভাগ

মূল্যবোধের স্তর ও অবস্থাভেদে একে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়।

নৈতিক মূল্যবোধ: নৈতিক মূল্যবোধ ব্যক্তিকে ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত ইত্যাদি নির্ধারণে দিক-নির্দেশনা দেয়। নৈতিক মূল্যবোধ সমাজের ভিত। যার ওপর সমাজ মজবুতভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। নৈতিকতা বিবর্জিত সমাজে কেউ কাউকে সহযেগিতা, শ্রদ্ধা ও মান্য করে না এবং শৃঙ্খলা থাকে না। বিশৃঙ্খল পরিবেশে মানুষের জীবন ও সম্পদ বিপন্ন হয়। নৈতিকতা সমৃদ্ধ জাতি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র।

সামাজিক মূল্যবোধ: সমাজ জীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচার ব্যবহার ও কর্মকাণ্ড যে সকল নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের সমষ্টিকে সামাজিক মূল্যবোধ বলে।

সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ: সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ জাতির পরিচয়ের মানদণ্ড। উন্নত সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রভাবে কোন জাতি বিশ্বে সুপরিচিতি লাভ করে এবং সম্মানিত হয়। অপরপক্ষে অপসংস্কৃতির কারণে কোনো জাতির পরিচয় অন্ধকারে তলিয়ে যায়।

মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদানসমূহ

মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদানসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  • ১) আইনের শাসন
  • ২) নীতি ও ঔচিত্যবোধ
  • ৩) সামাজিক ন্যায়বিচার
  • ৪) শ্রমের মর্যাদা
  • ৫) শৃঙ্খলাবোধ
  • ৬) সহমর্মিতা
  • ৭) সহনশীলতা
  • ৮) সরকার ও রাষ্ট্রের কল্যাণমুখিতা
  • ৯) নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ এবং
  • ১০) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

মূল্যবোধ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সহনশীলতা। সহনশীলতা অন্যের মতামতকে ধৈর্য ধরে শ্রবণ এবং গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার যোগ্যতা তৈরি করে। উত্তেজনা প্রশমিত করে সুখী ও সুন্দর সমাজ গঠনে সাহায্য করে সহনশীলতা। যে দেশের মানুষ যত সহনশীল সে দেশ তত সুশৃঙ্খল ও উন্নত।

মূল্যবোধ এবং সুশাসনের সম্পর্ক

মুল্যবোধ ও সুশাসন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং একে অপরের সহায়ক। রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মূল্যবোধের বিকল্প নেই ।

শৃঙ্খলাবোধের উন্মেষ এবং সামাজিক ন্যায়বিচার: শৃঙ্খলাবোধ মানবিক মূল্যবোধগুলোকে সুদৃঢ় করে সমাজজীবনকে উন্নতি ও প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। সামাজিক ন্যায়বিচার ও শৃঙ্খলাবোধ সুশাসনের ও বৈশিষ্ট্য এবং প্রয়োজনীয় উপাদান।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: আইনের শাসন মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যক্তি তার সামাজিক মর্যাদা খুঁজে পাবে এবং অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হবে। আইনের শাসন সুশাসনেরও গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য ও আবশ্যকীয় উপাদান। আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না।

কর্তব্যবোধ জাগ্রত করা: কর্তব্যবোধ মূল্যবোধের অন্যতম উপাদান। কর্তব্যবোধ না থাকলে সুশাসন ও প্রতিষ্ঠিত হয় না। এজন্যই নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধকে নাগরিকের অন্যতম গুণ বলা হয়।

মূল্যবোধ শিক্ষার গুরুত্ব

মূল্যবোধ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ ও বাষ্ট্র এর সুফল লাভ করে। আবার মূল্যবোধের অভাবে রাষ্ট্রকে চরম মূল্য দিতে হয়। মূল্যবোধ শিক্ষা যে শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শিক ও কাঙ্খিত আচরণ, ঐতিহ্যগতভাবে স্বীকৃত, মমত্বপূর্ণ, মানবীয়, অনুশীলনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন সঠিকভাবে হয়ে থাকে।

যার ফলে এক সময়ে দেখা যায় যে ব্যক্তি নিজের ভালো বা মঙ্গল করার চেষ্টা করে। মূল্যবোধ শিক্ষা আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা নয় বরং প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যসূচিতেই মূল্যবোধ শিক্ষার উপাদানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যদি কখনও শিক্ষার বাইরে বিভিন্ন সংগঠন এবং সংস্থা মূল্যবোধ শিক্ষা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সকলে মিলে একটি গঠন প্রদান করা যায় তাহলে এর গুরুত্ব বেড়ে যাবে।

মানুষের সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত করে মূলত মূল্যবোধের শিক্ষা পেলে। যা আমাদেরকে নিজ নিজ জায়গা থেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পরিলক্ষিত করে। মূল্যবোধের উপস্থিতি সরকার ও রাষ্ট্রকে জনকল্যাণমুখী করে। জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা মূল্যবোধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মূল্যবোধের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয় যা সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।

মূল্যবোধ শিক্ষার উদ্দেশ্য

আধুনিক শিক্ষা চিন্তাবিদদের মতে, মূল্যবোধ শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হবে ব্যক্তির মধ্যে নৈতিকতার নিরিখে এমন সব গুণাবলীর বিকাশ সাধন করা যা তাদেরকে সৎ, সাহসী ও আদর্শ নাগরিক হতে সাহায্য করবে। মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো-

  • মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি মূল্যবোধ।
  • মূল্যবোধ শিক্ষার প্রধানতম লক্ষ্য- সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা।
  • মূল্যবোধ শিক্ষার উপাদানগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠা

মূল্যবোধের শিক্ষা মানুষ প্রতিনিয়তই গ্রহণ করে থাকে। এছাড়া ও বিভিন্ন উপায়ে মূল্যবোধ শিক্ষার উপাদানগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। যেমন-

  • ১) চিন্তার স্বাধীনতা ও বাছাইয়ের ক্ষমতা প্রদান।
  • ২) পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সম-স্থানীয় ব্যক্তি এবং প্রতিবেশীদের সাথে সামাজিকীকরণের মাধ্যমে।
  • ৩) ইতিবাচক চিন্তা করা।
  • ৪) সহাবস্থানের শিক্ষা লাভ করা।
  • ৫) মানব মর্যাদাকে সম্মান করা ।
  • ৬) সত্যবাদিতার শিক্ষা প্রদান করা ।
  • ৭) বুদ্ধিবৃত্তির চিন্তার উন্নতি করা।
  • ৮) সম্প্রদায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
  • ৯) পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করা।

আশা করি আপনারা পোষ্টের এই অংশ থেকে মূল্যবোধ শিক্ষার উপাদানগুলো সমাজে প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক

মূল্যবোধ শিক্ষার সাথে সুশাসনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সমাজ জীবনে মানুষের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচার ব্যবহার ও কর্মকাণ্ড যেসব নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় তাদের সমষ্টিকে মূল্যবোধ বলে। এগুলো নিম্নরূপ-

  • কর্তব্যবোধ মূল্যবোধের অন্যতম উপাদান, কর্তব্যবোধ না থাকলে সুশাসনও প্রতিষ্ঠিত হয় না। এজন্যই সচেতনতা ও কর্তব্যবোধকে নাগরিকের অন্যতম গুণ বলা হয়।
  • মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষের নৈতিক গুণাবলী জাগ্রত ও বিকশিত করতে সাহায্য করে। আর নৈতিক মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা ছাড়া সুশাসন কাল্পনিক বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
  • মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের ধারণা পরস্পরের সম্পূরক।
  • বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন মূল্যবোধ শিক্ষার।

তো আশা করি আপনারা পোষ্টের এই অংশ থেকে মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি ও সভ্যতা

সংস্কৃতির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Culture’। মানুষ যেভাবে জীবনযাপন করে, যেসব জিনিস ব্যবহার করে, যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করে, সব নিয়েই তার সংস্কৃতি। খাদ্য, বাসস্থান, তৈজসপত্র, যানবাহন, পোশাক, অলঙ্কার, উৎসব, গীতিবাদ্য, ভাষা-সাহিত্য, ধর্মীয় রীতি-নীতি, সঙ্গীত, নৃত্য সবই তার সংস্কৃতির অংশ। সংস্কৃতি হলো সার্বিক জীবন প্রণালি।

সংস্কৃতির মধ্যে আছে যেমন সামগ্রিকতার মানবাধিকার, তেমনি আছে তার কৃতিত্বময়তার দিক। যে জাতি জীবিত আছে, সে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করে চলেছে, জীবন্ত সংস্কৃতির বহমান রূপান্তর। যে জাতির ক্রমবিবর্তন নেই তার সংস্কৃতি মৃত, সে জাতিও মৃত। কারণ সংস্কৃতির মধ্যেই নিয়ত ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয় সমগ্র জাতির প্রাণের স্পন্দন।

ক্রমবর্ধনশীল আধুনিক প্রযুক্তির ফলে শহরাঞ্চলের প্রতি ঘরে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক জায়গায়ই এখন সহজলভ্য ডিশ এন্টেনার সংযোগ। তো আশা করি আপনারা পোষ্টের এই অংশ থেকে মূল্যবোধ গঠনে সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পেরেছেন।

মূল্যবোধ সম্পর্কে শেষ মতামত

এই সম্পন্ন আর্টিকেলটিতে মূল্যবোধ কাকে বলে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য ও প্রকারভেদ আমাদের সকলেরই জানা উচিত। কারন এগুলো কখন কিভাবে প্রয়োজন পড়বে তা আমরা কেউ জানি না।

আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে মূল্যবোধ কাকে বলে সেই সম্পর্কে একটি ক্লিয়ার ধারণা পেয়েছেন। যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এই পোষ্টটি আপনি আপনার সহপাঠীদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে করে তারাও মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবে। এমন আরও প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক ব্লগ পোষ্ট পড়তে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top